ম্যান প্লাস এক্স ইকুয়েলটু ইসলামীক টেরোরিস্ট
ইসলামীক টেরোরিস্ট মাইনাস এক্স ইকুয়েলটু ম্যান
ইসলাম, মুসলমান ও মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা. কে বিদ্রুপ করে নির্মিত ‘দ্য ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ চলচ্চিত্রের একটি সংলাপ। ৫০ জন আর্টিস্ট এর শ্যুটিং করা এই ছবিটি গত বছর লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি গির্জার ভেতরে ধারণ করা হলেও তেমন করে নজরে আসেনি কারো। সম্প্রতি এই ছবিটির ট্রেলার ইউটিউবে ছেড়ে দেয়ার পর কিছুটা নড়েচড়ে উঠেছে বিবেক। মানবতার নবীকে অমানবিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এই ছবিতে। বিক্ষোভে ফুসে উঠেছে দেড়শ কোটি মানুষ। লিবিয়া, মিশর, জর্ডান, তিউনিশিয়া, ইরান, মরক্বো, সুদান, ফিলিস্তিন, রাস্তায় নেমে এসেছে মুসলমান। ক্ষোভ বেরুচ্ছে মুসলমানের কলিজা থেকে। বিক্ষোব্ধ জনতার ক্ষোভের আগুন জ্বলছে দাউ দাউ করে। কায়রো এবং সানায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলা চালিয়ে দূতাবাস তছনছ করে দিয়েছে বিক্ষোভ কারীরা। তিউনিসে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জনতা। উত্তেজিত জনতার হামলায় বেনগাজিতে নিহত হন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফার স্টিভেন্সসহ আরো চারজন কর্মকর্তা। অবশ্য লিবিয়ার এই হত্যাকাণ্ডের সাথে মুসলমানরা জড়িত কিনা- খোদ যুক্তরাষ্ট্রু থেকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বলা হচ্ছে বেনগাজির হামলার সঙ্গে ইসলামবিরোধী ওই ছবির কোন যোগসূত্র না-ও থাকতে পারে। এ হামলা চালানোর জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিলো। সুযোগসন্ধানীরা এখন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতির এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে।
অবশ্য ওবামা বলেছেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করেই ছাড়বেন। বাপকা বেটা, সিপাহীকা ঘোড়ার মতোই কথা। তিনি তার বাহনীর প্রতি হুকুম-আহকাম যা নাজিল করার, করে ফেলেছেন। ইতোমধ্যেই লিবিয়ার উদ্দেশে যুদ্ধজাহাজ, ড্রোন বিমান, ডেস্ট্রয়ার ( ছোট ও দ্রুতগামী রণতরী) ও ৫০/১০০ সদস্যের মেরিন কোরের একটি বিশেষ ইউনিটকে পাঠিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। এগুলোর ভূমিকা সেখানে কী হবে তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে আন্দাজ করা যাচ্ছে। মতলব খারাপ।
লিবিয়ার এই ঘটনা যদি তৃতীয় কোনো পরে দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে, যেমনটি ভাবছে ওয়াশিংটন, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। আর যদি এটাকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে আক্রমনের ইস্যু বানানোর পায়তারা করা হয়, ঠিক যেমনটি করা হয়ে আসছে, তাহলে ওবামা প্রশাসনকে একটি দু:সংবাদ দিই, বিশ্বে এখন দেড়শো কোটি মুসলমান। এরা পরষ্পর থেকে দূরে থাকছে, সবসময়ই দূরে থাকবে-কে বলেছে? মুসলমানদের আপোষের মধ্যে বিবাধ লাগিয়ে রেখে ফায়দা হাসিল করছেন, আপনাদের এই দুরভিসন্ধি মুসলমানরা একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছে। সেই দিন আরে বেশি দূরে নয় যেদিন মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠবে। সেদিন আর পালাবার রাস্তা খোঁজে পাওয়া যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রেকে ভুলে গেলে ভুল হবে শরীরের শক্তি সবসময় সমান থাকে না। বয়সের ভারে একসময় নূয়ে পড়তে হয়। অথবা অনিয়ন্ত্রিত চালচলনে বয়সের আগেই শরীর দুর্বল হয়ে যায়। ডাক্তারদের বলতে শুনেছি ৮০% অসুস্থতার মূলেই নাকি খাবারের অনিয়ম বা ভেজাল ও তৈলাক্ত খাবার। এই জীবনে অখাদ্য-কুখাদ্য’র তো আর কম খাননি। গরিবের ভিটে খেয়েছেন, কমজুরের মাটি খেয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের তেল খেয়েছেন, ল নারীর ইজ্জত খেয়েছেন, মুসলমানের রক্ত খেয়েছেন, সবচে’ জঘন্যভাবে বিবেকের মাথা খেয়েছেন, কীভাবে ভাবেন আরো দির্ঘদিন সুস্থ শরীরে আরামসে দিন কাটাবেন?
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। পূর্বসুরি রাশিয়ার দিকে তাকান। গুনে দেখুন ক’টুকরো হয়েছে। আপনাদের অবস্থা যে আরো করুণ হবে না, সেই গ্যারাণ্টি তো কেউ দিতে পারবে না। পরাশক্তি রাশিয়ার টুকরোগুলো না হয় গুনা যাচ্ছে। আপনাদের বেলায় তো সেটাও সম্ভব না হতে পারে। ভালো বুদ্ধি দিচ্ছি, আমলে নিন। সময় থাকতেই সতর্ক হোন। আহত সিংহরা কিন্তু বড়ই খতরনাক হয়ে থাকে।
দুই
যে ছবিকে কেন্দ্র করে এই ােভ, কী আছে সেখানে? কৌতূহল আছে অনেকেরই। মুসলমানরা বুঝতে পারছেন নবীজীকে কটাক্য করে ছবিটিতে কিছু একটা করা হয়েছে। কিন্তু সেটা কতটা জঘন্যভাবে, অনেক মুসলমানই জানেন না। জানলে কোনো মুসলমান আজ ঘরে বসে থাকতে পারতো না। পাগলের মতো বেরিয়ে আসতো রাস্তায়। বলতো, আমার নবীকে নিয়ে ফাজলামো করা সেই বেজন্মার কলিজাকে কুকুরের খাদ্য না বানিয়ে এবার আর ঘরে ফিরবো না।
বিশ্বনবীর কোনো ধরনের চিত্র অঙ্কন নিষিদ্ধ। অথচ মুসলমানদের বিশ্বাসে আঘাত দিতে নবীকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে। তাও আবার প্রিয়নবীকে উপস্থাপন করা হয়েছে চরম বেয়াদবের মতো, বিকৃত করে। ছবিটিতে অভিনিত চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে; মুহাম্মাদ, খাদিজা, আবু বকর, উমর, বেলাল ইত্যাদি। এখানে প্রথমেই আমি নাউজুবিল্লাহ বাক্যটি উচ্চারণ করে রাখছি। ছবির বর্ণনায় প্রতি বাক্যের সাথেই এই শব্দটি ব্যবহার করা অপরিহার্য। প্রতিটি লাইনে লাইনেই এই বাক্য বলা দরকার হবে।
ইজরাইলি বংসোদ্ভুত আমেরিকান কুলাংগার স্যাম বাসিল নির্মিত এবং অ্যালান রবার্টস পরিচালিত ‘দ্য ইনোসেন্স অব মুসলিমস’ ছবিতে প্রিয়নবী সা.কে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা দেখলে ভেতরে বিন্দুমাত্র ঈমান থাকা মুসলমানের পে নিরব থাকা কঠিন। পুরোদমে একজন সন্ত্রাসী ও চরিত্রহীন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে আমার নবীকে। সেই নবীকে, আরবের কাফিররা পর্যন্ত যার সুন্দর চরিত্রকে উদাহরণ হিসেবে পেশ করতো। ছবিটির ১৩ মিনিটের ট্রেলারটি দেখলেই যে কোনো মুসলমানের রক্ত গরম হয়ে যাবে। উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ এখানে শেয়ার করছি।
১ ছবিতে দেখানো হয় ‘মুহাম্মদ ইজ আওয়ার মেসেঞ্জার, এন্ড দ্য কুরআন ইজ আওয়ার কনস্টিটিউশন’ স্লোগান দিয়ে রক্তমাখা তরবারি নিয়ে গর্জন করছে কিছু মানুষ। তাদের মুখে আর্টিফিশিয়াল লম্বা দাড়ি, পরনে সাদা কুর্তা আর মাথায় পাগড়ী। এরা সন্ত্রাসী, এরা ইসলামিক টেরোরিস্ট! এরা দলবেধে খৃষ্টানদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে! লুটপাট করছে তাদের সম্পদ। এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা রাস্থায় সামনে পড়া নারীরাও। যাকে সামনে পাচ্ছে, তরবারীর আঘাতে হত্যা করছে তাকেই!---অথচ তখন আর এখন, সর্বযুগেই এই কালচারের ভিকটিম হলো মুসলমান। ইহুদী-খৃষ্টানরাই মুসলমানদের সাথে এমন বর্বর আচরণ করে থাকে।
২, দেখা যায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা অপারেশন থেকে অফিসে ফিরে তার নারী সহকারীদের জানাচ্ছেন, মুসলমানরা শত শত খৃস্টানদের হত্যা করছে। ওরা ইসলামিক সন্ত্রাসী। তিনি ব্লাকবোর্ডে সেটাকে ব্যাখ্যা করেন এভাবে-
Man+X=Bt
Bt-X=man
ম্যান প্লাস এক্স ইকোয়েলটু ইসলামীক টেরোরিস্ট। আবার ইসলামীক টেরোরিস্ট মাইনাস এক্স ইকুয়েলটু ম্যান। ৩, মুখে বিকটদর্শন কালি মাখা একজনকে যে চরিত্র দেয়া হয়েছে, সেই চরিত্র’র নাম হচ্ছে বেলাল! সে তাবুর বাইরে এসে দেখে মুহাম্মদ অত্যন্ত দৃষ্টিকঠুভাবে হাড্ডি থেকে কাচা মাংশ ছিলে খাচ্ছেন। সে বিরক্তি প্রকাশ করে বলে, মুহাম্মদ, দ্য বাস্টার্ড, তোমাকে তোমার স্ত্রী ডাকছে, তাবুর ভেতর। জলদি এসো। তখন সেখানে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ আরেক মেয়ে হাত থেকে হাড্ডিটি কেড়ে নেয়। মুহাম্মদ বলেন, এ্যাই! সবটুকু শেষ করিস না।
আমার জন্য রাখিস।
মেয়েটি তখন বলে, ঠিক আছে বাস্টার্ড, দ্য আননউন ফাদার!
----পৃথিবীর ইতিহাসে সবচে’ সম্মানী বংশে জন্মনেয়া সর্বকালের স্বীকৃত সর্বশ্রেষ্ট মহামানবকে বলা হচ্ছে বাস্টার্ড! পিতৃ পরিচয়হীন!! ফাজলামোরও তো একটা সীমা থাকা উচিত ছিলো!
৪, মুহাম্মদ তাবুর ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে অপো করে ছিলেন খাদিজা। কালো বোরকা পরিহিতা অবস্থায় পায়চারি করছেন তিনি। মুহাম্মদকে দেখেই খাদিজা বলেন,
মুহাম্মদ, বসো। আমি তোমাকে কী আদেশ করি মন দিয়ে শোনো।
মুহাম্মদ বসেন ফোরে। হাটুর একটু নিচ অব্দি লম্বা আলখেল্লা পরা মুহাম্মদ এর আলখেল্লার নিচে কিছু ছিল না। খাদিজাকে তখন বলতে শোনা যায়, মুহাম্মদ, কাভার ইওরসেলফ।
‘অহ সরি’ বলে কোসন দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকতে থাকেন মুহাম্মদ। হঠাত সামনের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যান তিনি । খাদিজা বলেন-
কী হয়েছে? ভয় পাচ্ছো কেনো তুমি?
তিনি বলেন, আমি ফেরেশতা দেখছি। ভয় করছে।
তখন খাদিজা উরু পর্যন্ত কাপড় উঠিয়ে মুহাম্মদকে পায়ের নিচে আশ্রয় দেন। মাথা থেকে ওড়না ফেলে দিয়ে বলেন, তাকিয়ে দেখো তো, এখন দেখা যায় কি না? মুহাম্মদ তাকান, হাস্যোজ্জ্বল চেহারায় বলেন, হি ইজ গন, সে চলে গেছে!
৫, মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছেন খাদিজা। তাঁর সামনে একটি গাধা। ছবিতে মুহাম্মদ নামের অভিনেতা এসে বলে, জানো এ হলো প্রথম মুসলমান।
এ্যাই, তোর নাম কী রে?
গাধা গ্যা গ্যা করে মাথা দোলালে সে বলে, বলেছে, সে নাম বলেছে! তার নাম জাফর! হেহেহে, জাফর।
-----বিশ্বনবীর সবচে বিশ্বস্থ সাথী হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাযি.কে নিয়ে এই নোংরামিটাও করা হয়েছে এই ছবিতে।
৬, মুহাম্মদ তাবুর বাইরে সাথীদের নিয়ে বসে মদ পান করছেন। সেখানে একজন হলেন উমর। আরো অনেকেই আছে সেখানে। নারীরাও আছে। তখন একটি মেয়ে সেখানে আসে। অর্ধ উলঙ্গ পোশাকে। এসে আবেদনময়ী ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলতে থাকে। মুহাম্মদ বলেন, তুমি ভেতরে যাও, আমি আসছি। বৈঠকের সাথী এক মেয়ে মুহাম্মদের কাছে জানতে চায় এই মেয়ে এই পোশাকে তোমার সামনে এলো আর তুমিও তাকে একসেপ্ট করলে, এটা কী হলো?
মুহাম্মদ নামের অভিনেতা তখন বলে, কোরআনে আছে কেউ এসে কিছু চাইলে তাকে না করতে নেই। এই মেয়েটি স্বামীহারা। তার চাহিদাকে মূল্যায়ন করতে হবে না? অত:পর সে উঠে ভেতরে চলে যায় এবং মেয়েটির সাথে---------------- ধীক্কার জানালেও তো কম হবে। যে নবীর সুন্দর চরিত্রের জয়গান করতো মক্কার মুশরিক মেয়েরাও, যে নবী জীবনেও পরনারীর দিকে নজর দেননি, তাঁকে নিয়ে এভাবে----!!
৭, ছবিতে ১২০ বছরের এক বৃদ্ধা মহিলা বলতে থাকে, আমার বয়স একশ বিশ। কিন্তু আমি আমার জীবনে মুহাম্মদের মতো সন্ত্রাসী আর দেখি নাই। সে মেয়েদের দাসী হিসেবে ব্যবহার করে। নারী ও শিশুকে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করে। আর যাবতীয় অপকর্ম করে বেড়ায় তাও আবার গডের নামে। সেটা বলার পর মুসলমানরা সেই মহিলার দুই পা দুটি উটের সাথে বেধে উট দুটিকে দুদিকে হাকিয়ে দেয়। মহিলাকে এভাবেই হত্যা করা হয়!------ কল্পনা করা যায়? ইসলামের দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে তো এমন পৈশাচিকতার একটা ঘটনাও ঘটেনি। মুসলমান নারীদের সাথেই বরং এমনটা অহরহ ঘটেছে, ঘটছেও।
৮, সাথীদের নিয়ে মরুভূমিতে বসে আছেন মুহাম্মদ। শলা-পরামর্শ চলছে। সাথীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছে সে, যে আমাদের কথা মানবে না, সাথে সাথে হত্যা করে ফেলতে হবে তাকে। এটা আমার আদেশ, কুরআনের নির্দেশ। বক্তব্য’র পর অন্যরা সবাই চলে গেলে খাস কিছু সাথী নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠেন তিনি। এক পর্যায়ে বলেন,------স্ত্রী সুফিয়াকে কি তোমরা দেখেছো? শী ইজ ভেরি বিউটিফুল! তার স্বামীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিলে---কথা শেষ হতে না হতেই সাথীরা বিকৃত লৌলুপ্যে ছুটে যায়। ধরে আনে সুফিয়ার স্বামীকে। হত্যা করা হয় তাকে। তারপর তার সাথে------!!!
তিন
আমি দু:খিত। যথেষ্ট শালীনভাবে ছবিটির কিছু চিত্র তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি এখানে। এই ছবিতে এমন কিছু দৃশ্য জুড়ে দেয়া হয়েছে মুহাম্মদ চরিত্রটির মাধ্যমে, সেটা সামনে আসামাত্র চোখ বন্ধ করে ফেলা ছাড়া উপায় নেই! সবচে জঘন্য যে চিত্রটি ধারণ করা হয়েছে, সেটা বর্ণনা করার মতো শব্দ নেই আমার কাছে। আমার আঙুলের মতা নেই সে দৃশ্য টাইপ করতে পারে। যারা দেখেছেন, তারা জানেন। অথচ, ------
-----কেমন মুসলমান আমরা? যে নবী সারাটি জীবন উম্মতের ফিকিরে কাটালেন, রাতের শেষ প্রহরে যে নবীকে মা আয়েশা আবিস্তকার করতেন জান্নাতুল বাক্বীতে, উম্মত আরাম করে ঘুমোচ্ছে আর উম্মতের মুক্তির জন্য কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন নবী...
যে নবী সেজদায় পড়ে থেকেছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
নবী মাথা ওঠাও, তোমার কান্না আমি আল্লাহ আর সহ্য করতে পারছি না।
জি না আল্লাহ, আমি মাথা উঠাবো না, আমার সকল উম্মতকে মাফ করে দাও, একজন উম্মতের নামও জাহান্নামের লিস্টে থাকা অবস্থায় আমি মাথা উঠাবো না; দয়া করো...
যে নবীর লাশ মোবারক কবরে রাখার পর ঠোঁট নড়তে দেখে কাছে গিয়ে শোনা গেলো নবী আমার ‘উম্মতি উম্মতি’ই বলছেন, পৃথিবী থেকে যাবার সময়ও যে নবীর মুখে ছিলো উম্মতের নাম...
ভয়াবহ কিয়ামতের দিন, যেদিন নবীরা পর্যন্ত কাঁপতে থাকবেন থর থর করে, কথা বলার সাহস থাকবেনা কারো, মনে মনে জপতে থাকবেন, আল্লাহ, উম্মত লাগবে না, আমাকে বাঁচাও, সেদিন, বিভীষিকাময় সেই দিন যে নবী উত্তপ্ত হাশরের মাঠে সেজদায় পড়ে কাঁদতে থাকবেন, মুখে থাকবে একটিই বাক্য, মালিক, আমার উম্মতকে বাঁচাও...
ভয়াবহ কিয়ামতের দিন, যেদিন নবীরা পর্যন্ত কাঁপতে থাকবেন থর থর করে, কথা বলার সাহস থাকবেনা কারো, মনে মনে জপতে থাকবেন, আল্লাহ, উম্মত লাগবে না, আমাকে বাঁচাও, সেদিন, বিভীষিকাময় সেই দিন যে নবী উত্তপ্ত হাশরের মাঠে সেজদায় পড়ে কাঁদতে থাকবেন, মুখে থাকবে একটিই বাক্য, মালিক, আমার উম্মতকে বাঁচাও...
...সেই নবীকে নিয়ে বেঈমানের বাচ্চারা এভাবে ফাজলামো করছে আর মুসলমান ‘ ধরি মাছ না ছুই পানি’ মার্কা আন্দোলন করেই খালাস! আজ তো মুসলমানের ঘরে বসে থাকার কথা ছিল না। আজ তো দেড়শো কোটি মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসার কথা ছিলো। আজ তো সারা পৃথিবী অচল করে দেয়ার কথা ছিলো। হায়রে মুসলমান!
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নবীকে অবমাননাকর এই সিনেমা নির্মানের নিন্দা করেছেন। তাও হাওয়া বুঝে, এক সপ্তাহ পরে, খোদ আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির নিন্দা জ্ঞাপনের পর!
একাধিকবার হজ্ব ও ওমরা পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী আমাদের মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছ থেকে এ পর্যন্ত কোনো জোরালো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে বলে জানা যায়নি।
আওয়ামীলীগ-বিএনপি দলগতভাবে এখনো কিছু বলতে যায়নি।
আশ্চর্য আমাদের রাজনীতি! যে রাজনীতির মূল্য ঈমানের অনেক উপরে!! বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ কিছু বললে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সহ্য করতে পারে না। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বাজে কথা বললে বিএনপি রাস্তায় নেমে আসে। অথচ, বিশ্বনবীকে নিয়ে এমন জঘন্য কাজ করার পরও এরা নিরব! তাদের কাছে নবীর ইজ্জতের চে তাদের নেতার ইজ্জতই তাহলে বড়?
বছরখানেক পরে এরাই আবার আল্লাহর নাম নিয়ে নবীজীর প্রতি ভক্তিতে গদগদ হয়ে মুসলমানের কাছে ভোট চাইতে আসবে! মানুষও আবার তাদেরকে গ্রহণ করে নেবে।
হায়রে মানুষ!!
চার
বিশ্বনবী সা. ও মুসলমানদের উপর ইহুদীদের এই ক্ষোভ নতুন নয়। ইতিহাসের ছাত্রদের জানা আছে এর সূচনা ৫৭০ খৃষ্টাব্দে। বনি ইসরাইল আর বনি ইসমাইল ইস্যুতে। বনি ইসরাইল বংশেই ছিলো নবীদের আনাগোনা। তাদের আকাঙ্খা ছিলো বিশ্বনবী বনি ইসরাইল বংশেই আসবেন। কিন্তু আল্লাহপাক বিশ্বনবীকে বনি ইসমাঈল বংশে পাঠানোয় তারা চরমভাবে অপমানিত বোধ করে। তখন থেকেই তাদের ক্ষোভ। ইসলাম, মুসলমান আর নবীজীকে যতভাবে কষ্ট দেয়া সম্ভব, দিয়েছে তারা, যগে যুগে। আজও সেটা অব্যাহত আছে।
এর আগে খৃষ্টান লেখক কর্তৃক দ্য হান্ড্রেড (সেরা একশ মনিষী) বই লেখার পর আর সেখানে হযরত মুহাম্মদ সা.কে প্রথম স্থানে রাখার পর ইহুদীরা সালমান রুশদীকে দিয়ে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস লিখিয়েছিলো। আল্লাহর বিশেষ কুদরতে বন্ধ না হলে ইহুদীদের এই কূটতন্ত্র ক্বিয়ামতের আগে বন্ধ হবার আপাতদৃষ্ট কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিশ্বনবী হজরত মহানবী (সা.)-এর চরিত্র হননের অপচেষ্টা এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে ইহুদি আর খৃষ্টানরা হাত মিলিয়েছে নতুন করে। চলচ্চিত্রটির নির্মাতা স্যাম বাসিল নামের ইসরাইলি মার্কিন এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছে, ৫০ লাখ ডলারের চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে ১০০ জন ইহুদি তাকে অর্থ সাহায্য দিয়েছে। স্যাম বাসিল প্রযোজিত এই সিনেমাটির ডিরেকটর অ্যালান রবার্টস নামের আরেক কুলাংগার। তবে এগুলো তাদের আসল নাম কি না, তা নিয়ে বার্তা সংস্থাগুলোর সন্দেহ থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই যে, এই কাজে ইহুদী আর খৃষ্টান যৌথভাবে অংশীদার।
ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে আবারও ক্রুসেড ঘোষণা করেছে তারা। এ ক্রুসেডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিশ্ব মুসলিমকে নবী প্রেম ও ইমানদারের পরিচয় দিতে হবে। অবিলম্বে এ সিনেমাটি বন্ধ এবং এর নির্মাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্টের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিতে হবে ইসলাম ও রাসুলকে (সা.) নিয়ে চরম অবমাননাকর এই ছবি প্রকাশ করে বিশ্বমানবতার বুকে যে আগুন ধরানো হয়েছে, অবিলম্বে এই ছবি নিষিদ্ধ ও তার পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত এই আগুন নিভবে না। ওয়াশিংটন যদি এটা না করে, তাহলে দুদিন আগে হোক আর পরে, এর পরিণতি হবে অত্যন্ত ভায়াবহ।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নবীকে অবমাননাকর এই সিনেমা নির্মানের নিন্দা করেছেন। তাও হাওয়া বুঝে, এক সপ্তাহ পরে, খোদ আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারির নিন্দা জ্ঞাপনের পর!
একাধিকবার হজ্ব ও ওমরা পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী আমাদের মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রীর কাছ থেকে এ পর্যন্ত কোনো জোরালো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত হয়েছে বলে জানা যায়নি।
আওয়ামীলীগ-বিএনপি দলগতভাবে এখনো কিছু বলতে যায়নি।
আশ্চর্য আমাদের রাজনীতি! যে রাজনীতির মূল্য ঈমানের অনেক উপরে!! বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ কিছু বললে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সহ্য করতে পারে না। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বাজে কথা বললে বিএনপি রাস্তায় নেমে আসে। অথচ, বিশ্বনবীকে নিয়ে এমন জঘন্য কাজ করার পরও এরা নিরব! তাদের কাছে নবীর ইজ্জতের চে তাদের নেতার ইজ্জতই তাহলে বড়?
বছরখানেক পরে এরাই আবার আল্লাহর নাম নিয়ে নবীজীর প্রতি ভক্তিতে গদগদ হয়ে মুসলমানের কাছে ভোট চাইতে আসবে! মানুষও আবার তাদেরকে গ্রহণ করে নেবে।
হায়রে মানুষ!!
চার
বিশ্বনবী সা. ও মুসলমানদের উপর ইহুদীদের এই ক্ষোভ নতুন নয়। ইতিহাসের ছাত্রদের জানা আছে এর সূচনা ৫৭০ খৃষ্টাব্দে। বনি ইসরাইল আর বনি ইসমাইল ইস্যুতে। বনি ইসরাইল বংশেই ছিলো নবীদের আনাগোনা। তাদের আকাঙ্খা ছিলো বিশ্বনবী বনি ইসরাইল বংশেই আসবেন। কিন্তু আল্লাহপাক বিশ্বনবীকে বনি ইসমাঈল বংশে পাঠানোয় তারা চরমভাবে অপমানিত বোধ করে। তখন থেকেই তাদের ক্ষোভ। ইসলাম, মুসলমান আর নবীজীকে যতভাবে কষ্ট দেয়া সম্ভব, দিয়েছে তারা, যগে যুগে। আজও সেটা অব্যাহত আছে।
এর আগে খৃষ্টান লেখক কর্তৃক দ্য হান্ড্রেড (সেরা একশ মনিষী) বই লেখার পর আর সেখানে হযরত মুহাম্মদ সা.কে প্রথম স্থানে রাখার পর ইহুদীরা সালমান রুশদীকে দিয়ে দ্য স্যাটানিক ভার্সেস লিখিয়েছিলো। আল্লাহর বিশেষ কুদরতে বন্ধ না হলে ইহুদীদের এই কূটতন্ত্র ক্বিয়ামতের আগে বন্ধ হবার আপাতদৃষ্ট কোনো সম্ভাবনা নেই।
বিশ্বনবী হজরত মহানবী (সা.)-এর চরিত্র হননের অপচেষ্টা এবং ইসলাম ধর্ম অবমাননার মাধ্যমে ইহুদি আর খৃষ্টানরা হাত মিলিয়েছে নতুন করে। চলচ্চিত্রটির নির্মাতা স্যাম বাসিল নামের ইসরাইলি মার্কিন এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে জানিয়েছে, ৫০ লাখ ডলারের চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে ১০০ জন ইহুদি তাকে অর্থ সাহায্য দিয়েছে। স্যাম বাসিল প্রযোজিত এই সিনেমাটির ডিরেকটর অ্যালান রবার্টস নামের আরেক কুলাংগার। তবে এগুলো তাদের আসল নাম কি না, তা নিয়ে বার্তা সংস্থাগুলোর সন্দেহ থাকলেও এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই যে, এই কাজে ইহুদী আর খৃষ্টান যৌথভাবে অংশীদার।
ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে আবারও ক্রুসেড ঘোষণা করেছে তারা। এ ক্রুসেডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিশ্ব মুসলিমকে নবী প্রেম ও ইমানদারের পরিচয় দিতে হবে। অবিলম্বে এ সিনেমাটি বন্ধ এবং এর নির্মাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্টের উপর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। ওয়াশিংটনকে জানিয়ে দিতে হবে ইসলাম ও রাসুলকে (সা.) নিয়ে চরম অবমাননাকর এই ছবি প্রকাশ করে বিশ্বমানবতার বুকে যে আগুন ধরানো হয়েছে, অবিলম্বে এই ছবি নিষিদ্ধ ও তার পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়া পর্যন্ত এই আগুন নিভবে না। ওয়াশিংটন যদি এটা না করে, তাহলে দুদিন আগে হোক আর পরে, এর পরিণতি হবে অত্যন্ত ভায়াবহ।